খাগড়াছড়িতে য়ংড বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান

 খাগড়াছড়িতে য়ংড বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পরিবেশে নানান আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল য়ংড বৌদ্ধ বিহারের দায়ক দায়িকাবৃন্দ আয়োজনে সকাল থেকে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য শতশত পূণ্যার্থীরা বিহারে সমাগম হয়েছে।

কঠিন চীবর দান উপলক্ষে বিহারে বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, পানীয় দান, কল্পতরু দানসহ সকল দানীয় বস্তু দান করেন। এসময় ধর্মীয় গুরুরা পূণ্যার্থীর উদ্দেশ্যে য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বিহার ভদন্ত কেমাসারা থের ধর্ম দেশনা দেন। এসময় জগতের সকল প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।

দায়ক দায়িকারা এসময় যে যার সাধ্যমত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফুল-ফল, ছোয়াইং (খাবার) প্রদান করে বৌদ্ধসহ ভান্তিদের কে দান করেছে। সন্ধ্যায় ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশে আকাশে আকাশ প্রদীপ (ফানুস বাতি) উড়িয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহা পূণ্যবর্তী বিশাখা ২৪ ঘন্টা মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরী করে সুতা গুলো রং করে বয়ন করে সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কার্য সম্পাদন করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মহাযঙ্গ সম্পাদন করার কারণে বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলে।

এদিকে খাগড়াছড়ি সদরে কল্যাণপুর মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে দায়ক দায়িকা ও উপাসক উপাসিকাবৃন্দ আয়োজনে ২৯তম দানরাজা দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব হয়েছে।

এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাইথো অং মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ নেতা ম্রাসাথোয়াই মারমা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post