নির্বাচন খাগড়াছড়ি: মামলায় জর্জরিত ফরহাদ, সম্পদ ও আয় বেড়েছে কুজেন্দ্রলাল’র

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো: শহীদুল ইসলাম ভুইয়া ফরহাদ’র কাঁধে মামলার বোঝা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী অর্জন করেন । বর্তমানে ১১টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তিনটি মামলাসহ বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা বিচারাধীন। এছাড়া একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি প্রার্থী মো: শহীদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদের বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় করেন ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৫টাকা। নিজের নামে সঞ্চয় পত্র/ব্যাংক আমানত ২ লাখ ২০ হাজার ৮শ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২২ লাখ টাকা আর স্ত্রীর নামে সঞ্চয় পত্র রয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। একটি মটর গাড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা। চাকুরীজীবি স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪শ টাকা। চট্টগ্রামে একটি দালানের দাম ৯৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ছাড়াও অকৃষি জমির দাম ১১ লাখ ১৩ হাজার ৭৭১ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর রয়েছে ৯লাখ টাকা মুল্যের অকৃষি জমি। ব্যাবসায়িক পূজি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ আছে হলফনামায়। অন্যদিকে নিজের নামে ৩৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৮ টাকার পাশাপাশি স্ত্রীর নামে ২৫ লাখ ৬ হাজার ৯৯০ টাকা নগদ রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন বিএনপি প্রার্থী মো: শহীদুল ইসলাম ভূইয়া। খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শহীদুল ইসলাম ভূইয়া ফরহাদের কাঁধে মামলার বোঝা। তিনি ১১ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তিনটি মামলাসহ বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা বিচারাধীন। এ ছাড়া একটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ধানের শীষের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া মামলায় জর্জরিত হলেও নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নামে কোনো মামলা নেই। বরং গত পাঁচ বছরে কৃষি ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে তার আয় বেড়েছে দেড় গুণ।

কোনো মামলার বোঝা নেই বর্তমান সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার। বরং গত পাঁচ বছরে কৃষি ও ব্যবসা থেকে আয় বেড়েছে দেড়গুণ। এবারের নির্বাচনে নৌকার মাঝি তিনি। তবে তার দেনা বেড়েছে এবার। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় কোনো ধরনের দারদেনা না থাকলেও পাঁচ বছরে পরে দায়-দেনা বেড়েছে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার। হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী পূবালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে ১ কোটি টাকা দায় রয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক।

১০ম সংসদ নির্বাচনকালীন হলফমানায় তার কৃষি থেকে আয় দুই লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৫ টাকা এবং ব্যবসা থেকে ২০ লাখ টাকা। পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে কৃষি থেকে তিন লাখ এবং ব্যবসা থেকে ৫৫ লাখ টাকায়। বেড়েছে স্থাবর সম্পত্তি। ৫ বছর আগে অকৃষিজমি ছিল ৬০ একর, যা বেড়ে হয়েছে ৮৪ একর। বর্তমান বাজারমূল্য ৫৫ লাখ টাকা। হলফনামায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৫ লাখ।

অন্যদিকে স্ত্রীর নামে নির্মাণাধীন বাড়ির মূল্য ২৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে ২৮ ভরি স্বর্ণের মূল্য দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা। দুটি প্রাইভেটকার ও একটি ল্যান্ড ক্রুজারের দাম দেখানো হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। তার নগদ টাকা রয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর রয়েছে তিন লাখ টাকা আছে। বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ২২ লাখ টাকা।

অন্যদিকে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ১৪ লাখ টাকা, যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে বছরে সম্মানী থেকে আয় ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে চাকরি বাবদ স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৪ টাকা।

Read Previous

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবার ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা

Read Next

খেলাধুলার মাধ্যমে সম্প্রীতি ও উন্নয়নের অগ্রযাকে এগিয়ে নিতে হবে- ব্রি.জে. সাজেদ