বিশ্ববাসীর ক্রান্তি লগ্নে ’অর্গলমুক্ত ঐশী প্রেমবাদ’ প্রবর্তন করেন সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:গাউছিয়া আহমদিয়া (শাহ এমদাদয়িা) মঞ্জিলের শাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (ম.জি.আ) বলেছেন, বিশ্ববাসীর ক্রান্তিলগ্নে পাপে নিমজ্জিত মানব সমাজকে উদ্ধারকল্পে মুক্তির দিশা দিতে, অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে এবং ধর্মীয় স্বরূপ পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্যে মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ)  গাউসুল আজম মাইজভান্ডারী রূপে আবির্ভূত হন।
তিনি যুগের প্রয়োজন অনুসারে শরীয়তী বিধি নিষেধের সাথে সমন্বয় সাধনপূর্বক নৈতিকতার উপর কার্যকরী প্রভাব বিস্তারকারী ধর্মসাম্যের সমর্থক বেলায়তে মোতলাকায়ে আহমদী বা “অর্গলমুক্ত ঐশী প্রেমবাদ” প্রবর্তন করেন। এই ঐশী প্রেমবাদ ধর্মজগতের ও সমাজজীবনের অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটান, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠি নির্বিশেষে স্ব-স্ব ধর্মে থেকে কাজ করার ও আল্লাহকে স্মরণ করার পরামর্শ দিতেন। সম্প্রদায়গত ভেদা-ভেদের উর্দ্বে তার কর্মকান্ড সকল সম্প্র্রদায়ের মানুষকে দারুনভাবে প্রভাবিত করে। এ কারণে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ পরিণত হয়ে উঠে সকল ধর্মেও মানুষের মিলন কেন্দ্র হিসেবে। আর ১০ই মাঘ সেই মহা মিলনের দিন।
তিনি সোমবার দুপুর ১২টায় মাইজভান্ডার দরবার শরীওে প্রতিষ্টাতা সৈয়দ আহমদ উল্যাহ মাইজভান্ডারী (ক.) ১১২তম ওরশ উপলক্ষ্যে মাজার শরীফে গোসল শরীফ করান ও গিলাফ ছড়ানোর পর মুনাজাত করেন। তখনি উল্লেখিত মন্তব্য করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী, ব্যবসায়ী সাইদুল হক খান, ক্যাপটেন সৈয়দ সোহেল হাছনাত, জহিরুল ইসলামচৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ ফজলুল কাদের, আনজুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারী (শাহ এমদাদীয়া) খেদমত কমিটির মহাসচিব সৈয়দ আবু তালেব, চট্টগ্রাম সিটি  কপোরেশন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন, অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন শৈবাল, মাষ্টার মো: আলমগীর প্রমুখ।

Read Previous

পানছড়িতে পায়ং পাড়া শ্রী শ্রী সর্বজনীন সরস্বতী পুজা উদযাপন কমিটির বৈঠক

Read Next

রাঙামাটিতে মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র ও হস্ত শিল্প মেলা শুরু