অশান্ত পাহাড়ে শান্তির প্রত্যাশায় খাগড়াছড়ি ফিরলো আগের পরিবেশে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: অশান্ত পাহাড়ের আবারো শান্তি ফিরে আসছে ধীরে ধীরে। আগের পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি। গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় একে অপরকে দেখে হাত মিলাচ্ছে আর ্েকই সাথে বাজার ঘাটে আসছে। চোখে মুখে সেই আগের মতই হাসির ছাপ।
অতি সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া ও হামলার কারণে খাগড়াছড়িতে আতঙ্কে কেটেছিল জনজীবন। মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ারে দোকান-পাট আগুন পুড়লে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২০ সেপ্টম্বর শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচ্চ পর্যায়র দলের প্রতিনিধি পরিদর্শন ও আলোচনা-মতবিনিময় সভা করে। এর পর থেকে স¦াভাবিক অবস্থা ফিরতে শুরু করে। পাহাড়ে জনজীবন অনেকটাই এখন স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। ৭২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ শেষে সড়কগুলো পুর্ণরূপ পেতে শুরু করেছে। পরিবহন ও জনজীবনে আবারো বেড়েছে ব্যস্ততা। বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে আবারও ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকরা।
পরিবহন শ্রমিক আব্দুল মালেক জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে সাজেক এ আটকা পরেছিলো। এখন সব স্বাভাবিক হয়েছে। খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করতেছে। মানুষ নিজ গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন। আমরা পাহাড়ে শান্তিতে সবাই এক সাথে মিলেমিশে থাকতে চাই।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোঃ নাজিম উদ্দিন হাওলাদার জানান, পাহাড়ে সম্পর্কে আগে আমার ধারণা ছিলো না। সাজেক এ গিয়ে আটকা পড়েছিলাম। সেনাবাহিনীরা আমাদের ফিরতে নিশেধ করেছে। গত তিন আটকে থাকার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় পর্যটকবাহী গাড়িগুলোকে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে পাহাড়ে আমরা চাইসকলেই যেনো সহাবস্থান করে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান সাংবাদিকেদের জানান, চলমান পরিস্থিতিতে যৌথবাহিনী টহল চলছে এবং জেলার উপজেলাগুলোতে গিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সভা করছেন জানালেন জেলা প্রশাসক। আর যদি কেউ পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পায়তারা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে জানালেন তিনি। পাহাড়ে সকল সংকট কেটে আবারও শান্তি ফিরে আসার প্রত্যাশা সকল সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের।