খাগড়াছড়ির প্রত্যন্তগ্রাম-ওয়াসুতে বিন্দু বিদ্যানিকেতন-এর উদ্যোগে পরিবেশআলোচনা, কার্টুনপ্রদর্শনী, বৃক্ষরোপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রত্যন্তগ্রাম ওয়াসু ১নং রাবারবাগান এলাকায় সামাজিক উদ্যোগে পরিচালিত শিক্ষাঙ্গন বিন্দু বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ^ পরিবেশ দিবস। আর এই উপলক্ষে পরিবেশ আলোচনা, কার্টুন প্রদর্শনী, বৃক্ষরোপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্য কমল কৃষ্ণ ধর এবং “এক কোদাল মাটিতে একটা পৃথিবী থাকে ”শীর্ষক আলোচনায় আলোচনা করেন পিঠাছড়া বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ উদ্যোগ’র প্রতিষ্ঠাতা মাহফুজ রাসেল।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, ‘আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি আমাদের চারপাশে কত কত প্রাণ থাকে? পৃথিবী নামের এই গ্রহটাকে বাসযোগ্য করে তুলতে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণ ীনিয়মিত ভূমিকা রাখছে। আমরা সেভাবে কখনো খেয়াল না করলেও এসব প্রাণের উপস্থিতি ও ভূমিকা অস্বীকারের কোন উপায় নেই। এমনকি আমাদের অজান্তেই প্রতি কেজি মাটিতে প্রায় দুই বিলিয়ন ক্ষুদ্র অনুজীব মাটিকে উর্বর করার কাজ করে যাচ্ছে, এসব অনুজীব আমরা চোখে দেখিনা বটে কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে মাটিতে কোন উদ্ভিদই জন্মাবে না। এক কোদাল মাটিতে একটা পৃথিবী থাকে। এমনভাবেই প্রকৃতিতে আরো অনেক উপাদান রয়েছে। যেগুলো আমাদের পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার কাজটি করে যায়। এই যে ধরুণনা, ব্যাঙের ছাতাকে দেখে নিতান্ত অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও মৃতপ্রাণী বা গাছপালাকে পঁচিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি উদ্ভিদের সাথে খাবার লেনদেনের সম্পর্ক গড়ে তোলে ব্যাঙের ছাতা বা ছত্রাক আমাদের পরিবেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাপকে আমরা ক্ষতিকর ভেবে ভয় পেলেও সাপ কিম্বা সাপের মতো আর সব সরীসৃপ প্রাণীও কিন্তু প্রকৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইঁদুর, ব্যাঙসহ বেশিরভাগ ছোট প্রাণীই সাপের মুলখাদ্য। ফলে কৃষি জমিতে ইঁদুরের প্রকোপ কমাতে কিম্বা ফসলকে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা করতে সাপের জুড়ি নেই। আলোচনা ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রদর্শীত হয় পরিবেশ সচেতনতামূলক কার্টুন, পোষ্টার। রোপিত হয় গাছ এবং পরিবেশিত হয় সচেতনতামূলক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।