চন্দ্রঘোনায় শ্মশানের সীমানা বেড়া ভাঙ্গার অভিযোগ
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অজ্ঞাত নামা দুস্কৃতিকারীরা উপজাতীয়দের শ্মশানের সীমানা প্রাচীরের ঘেরভেড়া ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। ইতিপূর্বে দুস্কৃতিকারীরা রাতের অন্ধকারে শ্মশানের জায়গা দখল করার জন্য কয়েক দফায় ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার বিকালে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে শ্মশান ঘেরভেড়া ভাংচুরের আলামত সত্যতা পেয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের উপজাতীয় পল্লী জুমপাড়া গ্রামে প্রায় ৪০ শতক জায়গা শ্মশান স্থিত আছে। ১৯৬৩ সাল থেকে বৌদ্ধ উপজাতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানটি ব্যবহার করে আসছে। জুমাপাড়ার গ্রাম প্রধান বিজয় কুমার চাকমা বলেন, গত কয়েক বছরে স্থানীয় জায়গা জমির দাম কয়েক গুন বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কিছু ভয়ংকর ভূমিদস্যুর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শ্মশানের ভূমির উপর। অব্যাহত ভাবে বিভিন্ন সময়ে শ্মশানের জায়গা দখলের জন্য পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে শ্মশানটি রক্ষা করতে স্থানীয় প্রশাসন ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ’র (এমপি) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জুমপাড়ার গ্রামবাসী।
শ্মশানের জায়গাটি ঘেরা বেড়া দিয়া জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দের সহায়তায় পরিমাপ করে দীর্ঘদিন পূর্বে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত নামা দুস্কৃতিকারীরা ইতিপূর্বে রাতের অন্ধকারে শ্মশানের জায়গা দখল করার জন্য কয়েক দফায় ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে। গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা শ্মশানের ঘেরাবেড়া পুনরায় ভাংচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী ইদ্রিছ আজগর বলেন, জুমপাড়া উপজাতীয়দের শ্মশানের জায়গা দখলে নিতে একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। রাতের আধাঁরে দুষ্কৃতকারীরা শ্মশানের ঘেরাবেড়া একাধিকবার ভাংচুর করার বিষয়টি গ্রামবাসীরা আমাকে অবহিত করেছেন। রাঙ্গুনিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাকিবুল ইসলাম বলেন, শ্মশানের জায়গার উপর ঘেরবেড়া ভাংচুর করা হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।