দীঘিনালায় দু‘পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আগুন, আহত ৩ জন সদর হাসপাতালে
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় ‘লারমা স্কয়ার’ এলাকায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আশপাশের অর্ধ শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
সর্বশেষ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরায় থামথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ রাতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, কোর কমিটির সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার থাকবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়িতে মো: মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে “দীঘিনালা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী”র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাঙ্গালী ছাত্ররা। বিক্ষোভ মিছিলটি থানা বাজার গিয়ে বাসটার্মিনাল হয়ে বোয়ালখালি নতুন বাজার প্রদক্ষিন করে লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি ছাত্র-যুবকের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায় বলে দাবী করা হয়। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়। তাদেরকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম, ও রাজুজাত চাকমা ও ডিজিটা চাকমা নামের ৩জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এক পর্যায়ে বিকালে একদল দূর্বৃত্ত লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকানপাট পুড়ে যায়। দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নিভানোর কাজ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো: মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর দাবী, একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যরা তাকে হত্যা করে।