পাহাড়ের আলো: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লক্ষ্মীছড়ি জোন কর্তৃক পরিচালিত লক্ষ্মীছড়ি-ফটিকছড়ি সীমান্তে বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ কিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফৌজিয়া রহমান চৌধুরী বুশরা এসএসসি পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড’র মানবিক বিভাগ হতে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্য হতে ৩য় স্থান অর্জন করেছে। তাঁর মোট নাম্বার ১৩০০ এর মধ্যে ১১৮৯ নম্বর পেয়েছে বুশরা।
জানা যায়, বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ কিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থী ৩৬জন এর মধ্যে পাশ করেছে ১৬জন। পাশের হার ৪৪.৪৪%। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রুপন চাকমা পাহাড়ের আলোকে আরো জানান, ফৌজিয়া রহমান চৌধুরী বুশরা ছাড়াও গোল্ডেন এ+ পেয়েছে আরো একজন তাঁর নাম আয়শা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানিকপুর মাদ্রাসার সুপার ও ছমুরহাট বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মাওলানা আনিছুর রহমান চৌধুরী কন্যা বুশরা। মা পরিবার কল্যাণ সহকারী মিসেস উম্মে কুলসুমের দ্বিতীয় কন্যা বুশরা।
এছাড়াও ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি মডেল হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মাস্টার সেকান্দারের নাতনি হলেন বুশরা। তাঁর এই সাফল্যে শিক্ষক ও অভিভাবকরা সকলেই খুশি।
মাওলানা আনিছুর রহমান চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে জানান, মেয়ের এই ফলাফলে আমি এবং আমার পরিবার অত্যান্ত খুশি হয়েছি। আমি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে.কর্নেল মো: তাজুল ইসলাম মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাবো এ কারণে তাঁর সু-দক্ষ পরিচালনায় এই সাফল্য।
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে ১২৮৫ নম্বর পেয়ে দেশ সেরা হয়েছে নিবীঢ় কর্মকার, ১২১৩ নম্বর পেয়ে নাজিফা তাবাসসুম মায়েশা হয়েছেন ২য়। আর ১১৮৯ নম্বর পেয়ে ৩য় স্থান অর্জন করলেন ফৌজিয়া রহমান চৌধুরী বুশরা।
এদিকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় একমাত্র মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বছর পাশের হার ৭৩%। এসএসসি পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় পাশের হার অনেকটা সন্তোষজনক বলা যায়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩১৫ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ২৩০ জন। ৮৫ জন ফেল করেছে। তবে জিপিএ-৫ পাইনি কেই। পাশের হার ৭৩% বলে ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা গেছে।