ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাইমারি শিক্ষকের লাথিতে মোঃ আইয়ুব (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ২৩ মে শনিবার
নিহত আইয়ুব নাজিরহাট পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের মৃত হারুন চৌধুরীর পুত্র। তিনি ৩ সন্তানের জনক।অার প্রধান অভিযুক্ত জাহেদ একই এলাকার আবু বকরের ছেলে।
অভিযুক্ত জাহেদ হোসেন স্থানীয় এবিসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে পাড়ার মসজিদের কাঠাল গাছ থেকে কিছু কাঠাল পাড়ে ইমামসহ মসজিদ কমিটির লোকজন। পরে তারা এই কাঠালগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা রাখতে বলেন। এসময় স্কুল শিক্ষক
জাহেদ তার ভাগ্নে মানিকসহ এসে কাঁঠাল বিক্রিতে বাঁধা দেয়।একপর্যায়ে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়।
জানা যায়, এসময় নিহত আইয়ুব দুপক্ষকে থামাতে গেলে জাহেদ তার লোকজন নিয়ে আইয়ুবকে মারধর করে। একপর্যায়ে জাহেদ বৃদ্ধ আইয়ুবের তলপেটে লাথি মারলে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মসজিদে ইমাম মোহাম্মদ আলী বলেন, গাছের কাঠাল নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহিদ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আইয়ুবকে এলোপাতাড়ি মেরে আহত করে। এসময় আইয়ুবের ছেলেরা নিহত আইয়ুবকে উদ্ধার করে নাজিরহা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত আইয়ুবের ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট হোসেন বলেন, দুপুরে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের কাঁঠাল বেচাকে কেনাকে কেন্দ্র করে জাহেদ, তার ভাগিনা মানিক,জাহেদের বড় ভাই আলমগীর, তৌহিদ মিলে আমার বাবাকে মেরে ফেলে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ঘটনার অভিযুক্ত জাহেদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।