ভাষা শহীদদের স্বরনে- পার্বত্যাঞ্চল রামগড়ে প্রথম শহীদ মিনার

রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা: ১৯৬৮সালে রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পার্বত্যাঞ্চলে সর্বপ্রথম শহীদ মিনারের মূল স্তম্ভ র্নিমিত হয়েছিল রামগড়ে। তৎকালীন রামগড় মহকুমার অনারারি ম্যাজিষ্ট্রেট মং-¤্রাইহ্লাপ্রু চৌধুরীর সহায়তায় এই মিনারটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পরর্বতীতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের স্বরনে ১৯৭২ সালে শহীদ মিনারটি র্পূণনির্মাণ করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের হেডকোয়াটার তৎকালীন ১৯২০ সালের প্রাচীন মহকুমা শহর রামগড় শত্রুমুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর।দেশস্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পুকুর পাড়ে র্পূণনির্মাণ করা হয় পার্বত্য জেলার সর্বপ্রথম শহীদ মিনারটি।

শহীদ মিনারটির ডিজাইন সংগ্রহ করেন রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন বিএসসি শিক্ষক এম আর খান। নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি ছিলেন মরহুম আবদুর রউফ। মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মুলকুতুর রহমানের উদ্যোগেই এটি আধুনিক রুপে পূর্ননির্মাণ করা হয়। স্থানীয় বিক্তশালীদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে নির্মাণকাজ চালানো হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মরহুম সুলতান আহমদ, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মুলকুতুর রহমান, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা দুলাল চন্দ্র দে, কালাচাঁন দেবর্বমনসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এ শহীদ মিনারটি র্পূণনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

বর্তমানে প্রশাসনের উদ্যোগে রামগড়ে নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে পর এটি শুধু মাত্র রামগড় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার হিসাবে ব্যবহৃত হলেও ভাষা শহীদদের স্বরনে কোন প্রকার শ্রদ্ধা ও রক্ষনাবেক্ষন অভাবে স্মৃতি মুছে যাচ্ছে। বিগত বছর ২০১৬ সালে রামগড়ের সাবেক ইউএনও ইকবাল হোসেন বর্তমানে খুলনার এডিসি(সার্বিক) এর সহযোগিতায় শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হয়। স্থানীয় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান খাজা নাজিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন বলেন – শহীদ মিনারটি যে অসমাপ্ত কাজ রয়েছে সে গুলি বর্তমান উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জোর দাবী জানান।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা শহীদদের স্বরনে পার্বত্যাঞ্চল রামগড়ে প্রথম শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ ও রক্ষনাবেক্ষণ বিযয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী এ প্রতিনিধিকে বলেন- বিযয়টি ব্যাপারে অবগত হয়েছি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ করে পরর্বতীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

Read Previous

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা শীর্ষক সেমিনার পানছড়িতে

Read Next

মানিকছড়িতে‘ট্রাফিক নিয়মাবলি বিষয়ক শিক্ষামূলক কার্যক্রম’শুরু