মাইজভাণ্ডার দরবারে বাবাভাণ্ডারী (ক.)’র ওরশ শরীফে লাখো ভক্ত জনতার ঢল

প্রেসবার্তা: দূর দূরান্ত থেকে আসা লাখো ভক্তজনতার অংশগ্রহণে আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার পূর্ণতাদানকারী হযরত গাউছুল আ’যম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক.)’র ৮৩ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ পালিত হয়েছে।

তিন দিন ব্যাপী ওরশ শরীফ উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, রওজায় গিলাফ চড়ানো, ফ্রি চিকিৎসা সেবা ক্যাম্প, রক্তদান, ব্লাড গ্র“প নির্ণয়, মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনার লক্ষ্যে গণ স্বাক্ষর, র‌্যালি এবং গতকাল ৫ এপ্রিল ২২ চৈত্র, শুক্রবার সমাপনী দিনে হুজুর কেবলার জীবনী আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার মুক্তি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা ও মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন রাহবারে শরিয়ত ও ত্বরীকত হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।

তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের মহান ওলীগণ মানুষকে ইসলামের সহজ সরল সঠিক পথই দেখান। আল্লাহ পাকের সেরা সৃষ্টি মানুষের সেবা ও কল্যাণ করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত। মানুষের প্রতি দরদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.) আল্লাহ পাকের যোগ্য প্রতিনিধিত্বের দায়িত্বই পালন করেন। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর রহমান নামের গুণাবলীর উজ্জ্বল প্রতীক। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যাজর্নের পথই দেখিয়েছেন তিনি। সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা, পরকল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দেয়া ও মানুষের সেবায় সর্বদা প্রস্তুত থাকাই হচ্ছে হযরত বাবাভাণ্ডারী (ক.)’র জীবন দর্শন। আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বার্থান্ধতা ও ভোগল্পিসাই আজ পৃথিবীতে যতো অশান্তি-হানাহানির মূল কারণ।

এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্যাগের পথ ধরতে হবে। গণকল্যাণে নিজেদের ব্যাপৃত রাখতে হবে। এটাই হচ্ছে বাবাভাণ্ডারী (ক.)’র শিক্ষা। তিনি আর্তমানবতা ও গণকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখে অবিস্মরণীয় কর্মকীর্তির স্বাক্ষর রাখেন বলে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) উল্লেখ করেন। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদায়ে গাউছুল আ’যম সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব খলিফা এডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আল্হাজ্ব কবীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক খলিফা আল্হাজ্ব আলমগীর খাঁন মাইজভাণ্ডারী, পীরজাদা হযরত মাওলানা মুফতী খাজা বাকী বিল্লাহ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমীন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, সহপ্রচার সম্পাদক শাহ মো: ইব্রাহিম মিয়া মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আন্জুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি খলিফা আল্হাজ্ব বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মো: শহীদুল্লাহ প্রমুখ। বার্তা প্রেরক:

(শাহ্ মুহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া)
কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক
আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post