রামগড় প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ২৮ জুলাই মঙ্গলবার ভোর রাতে মধ্য বলিপাড়া এলা
রামগড় প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ২৮ জুলাই মঙ্গলবার ভোর রাতে মধ্য বলিপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির আঙ্গীনা থেকে গৃহবধু রাশেদা আক্তার (২০) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে রামগড় থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ওমর ফারুক (২৮) কে অজ্ঞান অবস্থায় রামগড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানিয়রা জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে সোনাইপুল বাজারের ফল ব্যবসায়ী ফারুক ও তার পরিবারের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে আত্মচিৎকারে এগিয়ে গেলে ঘরের বাহিরে ফারুকের স্ত্রীর অর্ধ উলঙ্গ গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ এবং বাড়ির সামনে অজ্ঞান অবস্থায় স্বামী ফারুককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়া হলে লাশটি উদ্ধার করে এবং ফারুককে রামগড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা গেছে ৩ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৮ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান ও রয়েছে।
এদিকে নিহতের পিতা মো. আবু সৈয়দ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পিতা আরো অভিযোগ জানিয়ে বলেন, মেয়ের ব্যবহৃত গহনা ও গরু বিক্রি অজুহাতে মেয়ের সাথে স্বামী ও তার পরিবারের কলহ চলছিলো। এ বিষয়ে গত ৩মাস পূর্বে সমাজে বিচারও হয়েছিলো। তিনি মেয়ে হত্যার জন্য তার স্বামী ও পরিবারকে আসামী করে মামলার দায়ের করেছেন। সুষ্ঠ তদন্ত করে মেয়ের আসল হত্যাকারীদের সনাক্তপূর্বক বিচারের দাবি জানান।।
রামগড় সার্র্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, প্রাথমিক আলামতে বহিরাগত সম্পৃৃক্ততার কিছু পাওয়া যায়নি তবে হত্যাকান্ডের সাথে পারিবারিক সংশ্লিষ্টতার আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে। এদিকে মেয়ের পিতা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।