সীমান্ত সুরক্ষায় নদীপথে টহল দিবে রামগড়ের ৪৩ বিজিবি

রামগড় প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির জালিয়াপাড়া হতে চট্টগ্রাম জেলার করেরহাট পর্যন্ত সর্বমোট ৪৫ কিলোমিটার আয়তনের দ্বায়িত্বপূর্ন এলাকা নিয়ে গঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিন, রামগড় জোন এলাকা অবস্থিত। ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা উচুঁ-নিচু পাহাড়, বন-জঙ্গল ও চা বাগান দ্বারা বেষ্ঠিত। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ফেনী নদী দ্বারা বিভক্ত। সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখন্ড রক্ষা, চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধকল্পে বিজিবি সদস্যগণ সীমান্তের বিওপি (বর্ডার আউট পোষ্ট) সমূহে নিয়োজিত থেকে সদা সর্বদা অর্পিত দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে আসছে।

৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কতৃক অত্র অঞ্চলে বেশকিছু সড়কের মেরামত করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বর্তমানে এই দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল এবং নদী বেষ্ঠিত সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিওপি (বর্ডার আউট পোষ্ট) সমূহে অপ্রতুল যোগাযোগ অবকাঠামো এবং বিওপি পর্যন্ত পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকায় সীমান্ত অপরাধ ও চোরাচালান দমনে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাছাড়া এ অঞ্চলে বর্ষাকালে সীমান্তে টহল পরিচালনা করা খুবই কষ্টসহিষ্ণু হয়ে পড়ে।

উক্ত সমস্যাকে মাথায় নিয়ে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন, রামগড় জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, জি বিষয়টি মনযোগ সহকারে লক্ষ্য করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী পথে নৌকা যোগে টহল পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, যা অত্র অঞ্চলে এই প্রথম।  এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাটালিয়নের নিজস্ব তহবিল হতে ২,৪৬,৫০০/- (দুই লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা দিয়ে বান্দরবান জেলার বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ থানচী বাজার হতে ০২ (দুই) টি নৌকা ক্রয় করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। থাইল্যান্ডের তৈরী মোটর ইঞ্জিন দ্বারা চালিত নৌকাগুলি অল্প পানিতে চলতে পারে। এছাড়া নৌকাগুলি নালা/ছড়া দিয়ে চলাচল উপযোগী এবং ১২ মাসই শূন্য লাইনে টহল করা সম্ভব। বিজিবি জানায়, এই নৌকা দুটি দিয়ে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ নদী বেষ্ঠিত ৪৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে টহল পরিচালনা করে সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব এবং সন্তোষজনক হারে সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান বন্ধ করা যাবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, জি জানান, অত্র জোনের দ্বায়িত্বপূর্ন এলাকায় নদীপথ সুরক্ষার পাশাপাশি সামগ্রিম সন্ত্রাস দমনে ৪৩ বিজিবি সর্বদা সচেষ্ট এবং সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যা বেঘবান করতেই নদীপথে টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ৪৩ বিজিবি’র এমন সব কার্যকরী সিদ্ধান্তে আশার আলো ফুটেছে স্থানীয়দের মনে, সীমান্ত চোরাচালান রোধ ও আসন্ন কোরবানীর ইদকে সামনে রেখে অবৈধ পশু চোরাচালান সহ এ অঞ্চলের সন্ত্রাস দমনে ভূমিকা রেখে এগিয়ে যাবে বিজিবি এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Read Previous

শোকের মাস আগস্ট: খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ’র আলোচনা সভা

Read Next

সরকারি হলো লামা মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজ, আনন্দ র‌্যালি