শীতবস্ত্র বিতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আর্শীবাদ কামনায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: সমতলের চেয়ে পাহাড়ে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। বিশেষ করে দূর্গম এলাকার দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষরা নানা বৈরি বাস্তবতা আর ভৌগলিক কারণেও সরকারের সব সেবা নিতে পারেন না। তেমনি শীত মৌসুমেও এসব দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ সয়ে যান শীতের কষ্টও। সেসব মানুষের ঘরে ঘরে শীতবস্ত্র কম্বল প্রদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আর্শীবাদ কামনার কর্মসূচি শুরু করেছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদায় শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা স্বস্ত্রীক শনিবার বিকেলে দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম নয়মাইল এলাকার গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে কয়েক’শ শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপি জেলাজুড়ে এই কর্মসূচি’র আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
এদিকে নতুন শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পাহাড়ি পল্লীর নারী-পুরুষরা। এসময় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তাঁর সহ-ধর্মিনী মল্লিকা ত্রিপুরা, প্রবীন ব্যক্তিত্ব তপন ত্রিপুরা, সমাজকর্মী ও শিক্ষক চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা, স্থানীয় ইউপি সদস্য গনেশ ত্রিপুরা এবং সমাজকর্মী মালিনি ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় সোয়া দুই লাখ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ ২২ জানুয়ারি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে গণ-সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নেন।
কিন্তু জেলা আওয়ামীলীগের এই সভাপতি গণ-সংবর্ধনার কর্মসূচির পেছনে টাকা অপচয় না করে দলের নেতাকর্মীদের সামর্থ্য অনুযায়ী শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন। এরপর থেকেই দলের দুই-একজন নেতা শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসেন। সর্বশেষ শনিবার (গতকাল) থেকে তিনি নিজেই জেলাজুড়ে সপ্তাহব্যাপি শীতবস্ত্র কর্মসূচি সমাপ্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সকল ক্রান্তিকালে দরিদ্র মানুষের অবদানই বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও দারিদ্র্যতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে জীবনবাজি রেখেছেন।